মাসুদ রানাঃ
সাভারে একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনায়ন প্রার্থীর সংখ্যা ৬জনে ঠেকেছে। মনোনায়ন প্রত্যাশীরা হলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহীর দ্বায়িত্বে থাকা আলহাজ্ব আবু নাসীম আহম্মেদ পাভেল। যিনি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি শোডাউন করেছেন এবং এখনো গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন । যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন তিনিও মনোনায়নের জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ। আরেকজন তেতুলঝোড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর। তিনি এখনো প্রকাশ্যে সবর হননি কিন্তু তার বার্তা জানান দিচ্ছেন।অপরজন সাবেক ঢাকা জেলা প্রশাসক হাসিনা দৌলা, সদ্য সাংবাদিককে জানান দেন তার এই মনোভাবের কথা । তদুপরি সাভারে মূল প্রার্থীর তালিকায় দুজনের নামই ঘুরে ফিরে আসছে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এ দু”জনকেই এগিয়ে রেখেছে।
কেউ বলছে মুরাদ জং আবার কেউ বলছে ডাঃ এনাম। দুই ভক্ত কুলে রয়েছে চরম উৎকন্ঠা, শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে আসে নৌকার টিকেট তাই দেখার বিষয়। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ ঢাকা-১৯ এর সাবেক এমপি আর অপরজন ডাঃ এনামুর রহমান এনাম রাজনৈতিক ঘরনার বাইরে একজন চিকিৎসক বর্তমান আওয়ামীলীগ দলীয় ঢাকা-১৯এর এমপি। ডাঃ এনাম মনোনায়ন পেতে ইতোমধ্যে এলাকায় শোডাউন ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন থেমে নেই মুরাদ জংও, নিজে উপস্থিত না হলেও আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী আর সমার্থকরা তার পক্ষে এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাপক শোডাউন আর গণসংযোগ। অন্যদিকে অনেকটা ফুরফুরে আর হামলা মামলার ভয়ে দৌড়ের উপর আছেন বিএনপি-র একক প্রার্থী ডাঃ দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু। আওয়ামীলীগের মনোনায়ন এখন অনেকটা নির্ভরশীল বিএনপির নির্বাচনে আসার উপর। ঢাকার প্রবেশদ্বারখ্যাত এই আসনটি বিএনপি আওয়ামীলীগ দুটি দলের কাছেই অতিব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ-ই এই আসনটি হাত ছাড়া করতে চাইছে না। আর তাই শক্ত অবস্থানে রয়েছে বড় দু”টি দল। যদিও দুই দলের মাঝেই কম বেশী গ্রুপিং রয়েছে। কিন্ত তা এবার ভোটের রাজনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলে তাই মূলত দেখার বিষয়।
২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচন এবার হবে বলে মনে হয় না। আর অত্র অঞ্চলে স্থানীয়দের থেকে বহিরাগতদের ভোটের সংখ্যা অনেক বেশী তাই আগাম কোন বার্তাদেয়াটা বড়ই কঠিন। কারণ এই বহিরাগত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশীর ভাগ-ই পোষাক শ্রমিক,এবার নতুন ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৩লক্ষে। এরা দিনের আলোর শুরুতে চলে যায় কারখানার চার দেয়ালের মাঝে, আবার বেরিয়ে আসে রাতের অন্ধকারে। এদের মনোভাব বোঝা বড়ই কঠিন। আর এদের সমর্থন-ই বড় দুটি দলের আগামীদিনের নেতৃত্ব নির্ভর করে।
অত্র অঞ্চলের আওয়ামীলীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদরা নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে খোলামেলা ভাবে এক আলাপচারিতায় এই প্রতিবেদককে বলেন, আওয়ামীলীগ যদি যোগ্য প্রার্থীদিতে ভূল করে তবে নিশ্চিত এই আসনটি হারাবে। তারা বলেন বিএনপি দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে আজ রাতারাতি এত আওয়ামীলীগ হলেই গা ভাসানোর কিছু নেই। তারা শংসয় প্রকাস করে বলেন, এই সাভার আশুলিয়ায় এখন যত আওয়ামীলীগ আছে তত গ্রুপিং-ও আছে। সেদিক থেকে বিএনপি কিছুটা হলেও সুবিধা জনক পজিসনে আছে। তাদের গ্রুপিং তারা এবার অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে নিরশন করবে কিন্তু আমাদের গ্রুপিং নিরাশনে কার্যকরি ভূমিকা না নিলে পরিস্থিতি অনুকুলে থাকবে না।
সেক্ষেত্রে তারা আওয়ামীলীগের হাই কমান্ডের কাছে আশা করেন- শক্ত সমর্থবান সর্বপরি ডাঃ দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবুর সাথে নির্বাচনে লড়াই করার মত ক্ষমতাবান প্রার্থী । যিনি আগামী দিনে আবারো আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে গ্রুপ নিরশনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করবেন।
আর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কার নেতৃত্বে আগামী দিনে পরিচালিত হতে চায় সেদিক টিও বিবেচনায় রাখতে বলেন। তারা আরো বলেন, ফায়দাবাজদের কথা শুনে উল্টা পাল্টা কাউকে মনোনায়ন দিলে আস্থা হারাবে নেতাকর্মীরা। এসময় বিজ্ঞ এক রাজনীতিবিদ বলেন,নেত্রী যাকে মনোনায়ন দিবে আমরা তার সাথে নৌকার জন্য কাজ করবো, এটা একটা মুখস্ত ডায়লগ বাস্তবতা ভিন্ন, তিনি ভনিতা না করে সরাসরি বলেন,যারা যার প্রিয় ব্যাক্তিকে তারা ক্ষমতার আসনে দেখতে চায়। যেমন মুরাদ জং পন্থিরা কখনো এনামকে ভোট দিবে বলে মনে হয় না। এখন কথা হলো কার সমর্থন বেশী তাই দেখার বিষয়। জনসমর্থন আর নেতাকর্মীদের পালস দেখে মনোনায়নের বিষয়টি সমাধান করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। তার পরেও আমরা এখন হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে আছি, দেখি হাই কমান্ড কি সিন্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন যেন তেন ব্যাক্তিকে মনোনায়ন দিলে নির্বাচনের আগেই হেরে যাবে আওয়ামীলীগ
No comments:
Post a Comment