সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভারে সম্প্রতি আলাদা ৩টি হত্যাকান্ড ও একটি ডাকাতিসহ কেরানীগঞ্জের একটি হত্যাকান্ডেরও রহস্যের জট খুলেছে। জড়িত ৯ খুনীকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এরা সবাই ছিনতাই, ডাকাতি চক্রের সদস্য ও পেশাদার খুনী।
বুধবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: রংপুরের গঙ্গাচড়ার মিলন , রাজশাহীর পবার থানার আবদুল্লাহ তুষার, বগুড়ার ধুনটের বকুল, বগুড়ার ধুনটের বিল্লাহ মিয়া, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের রতন মিয়া, ঢাকা ধামরাইয়ের হারুনর রশিদ, সিরাজগঞ্জের কামরুখন্দের শান্ত, একই জেলার জয়পাড়ার থানার শাওন হোসেন ও সাভার হেমায়েতপুরের শাকিল আহম্মেদ ও তপু চন্দ্র দাস।
তিনি জানান, গত ২ এপ্রিল সাভারে ভাকুর্তায় মতিউর রহমান নামে এক অটোরিক্সা চালককে খুন করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে শুধু অপরাধীর জুতা উদ্ধার করা হয়। সেই সূত্র ধরে মিলন নামে এক খুনীকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, ফেলে যাওয়া জুতা এই চক্রের অপর খুনি বকুলের। সেই সব সূত্র ধরে আরও জানা যায়, সাভারে গত ১১ এপ্রিল সাভারের ঝাউচর এলাকায় অটোরিক্সা চালক মাইনুলকে কুপিয়ে অটোরিক্সা ছিনতাই, ১৪ এপ্রিল ছিনতাইয়ের টাকা ভাটভাটোয়ারা নিয়ে বাস স্ট্যান্ডে মহসিন নামে ছিনতাইকারীকে কুপিয়ে খুন করে অপর ছিনতাইকারীরা। পাশাপাশি গত ২৭ মার্চ কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে জাকির হোসেন নামে অটোরিক্সা চালককে খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাই করে এই চক্রটি। পরে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে গত রাতে উত্তরবঙ্গসহ সাভার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে গত ৮ এপ্রিল সাভারে হেমায়েতপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে শ্রমিক আবুল কাশেম খুনের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাত্রী বেশে বা নির্জন স্থান দেখে অটোরিক্সা চালককে জখম বা কখনো খুন করে ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সাইদুর রহমান, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ, ওসি (তদন্ত ) সওগাতুল আলম ও ঢাকা জেলার উত্তর ডিবি পুলিশের ওসি আবুল বাশার সহ অন্যানা কর্মকর্তাগন।
No comments:
Post a Comment