নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার আওতাধীন টাট্রিবাড়ী,সোসাইটি এলাকায় স্থায়ীভাবে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাসরত ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে বেশকিছু দিন যাবৎ মিথ্যা মামলা অপ-প্রচারসহ তফসিলভুক্ত নিজ মালিকানাধীন জমি অবৈধভাবে জবরদখল ও বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে জালজালিয়াতি করে জমি দখলের পায়তারা করে আসছে চিহ্নিত দালাল এবং সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র।
উক্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেনঃ কুরগাঁও নতুন পাড়ায় বসবাসরত মোছাঃ শিরিনা বেগম স্বামীঃ মৃত আবুল বাশার তার ভিক্তিহীন দাবি অনুযায়ী কুড়গাঁও মৌজার এসএ ১৭নং ১৩ শতক যে সম্পত্তি মালিক দাবি করছে শিরিনা এবং শিরিনা এও দাবি করেন যে,ব্যবসায়ী হাবিব আমার নিকট হতে ২০০০সালে জমি ভাড়া নিয়া ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।২০১৪সালে আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে আমার স্বামী ও শ্বাশুরীর মালিকানাধীন সম্পত্তি তাহার বলিয়া দাবি করেন। এখন কথা হলো উক্ত দাবীকৃত সম্পত্তি যদি শিরিনা বেগমের হবে তাহলে আমি হাবিব ১৯৯৬ সাল থেকে এই ১৩ শতক সম্পত্তির উপর মার্কেট নির্মাণ করে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনাসহ অদ্যবধি ভোগদখল করে আসেতেছি।
হাবিব আরো বলেনঃ আমি সম্পত্তি ক্রয় করি ১৯৯৬ সালে আর শিরিনা দাবি করে আমি নাকি তার নিকট হতে জমিটি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি ২০০০ সাল থেকে এবং এত বছর পর ২০২০সালে এসে নাকি আমি উক্ত জমিটি দখলের পায়তারা করছি এমনকি উক্ত জমিতে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করছি অথচ উক্ত জমিতে মাটি ভরাট করার মতো পরিস্থিতি এবং ঘর নির্মাণের কোন জায়গায় নেই।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানাযায়, এলাকাবাসী অনেকেই বলেনঃ ব্যবসায়ী হাবিব দীর্ঘদিন যাবৎ এই সম্পত্তিতে মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং যারা এই সম্পত্তি নিজেদের বলে দাবি করছে মূলত তারা সকলেই মিথ্যা ভুয়া কাগজ তৈরী করে একজন মানুষকে হয়রানি করছে এরা প্রতারক দালাল চক্র তাদের কাজই এরকম করে মানুষের জমিতে ঝামেলা লাগিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তাদের একমাত্র পেশা।
এদের বিরুদ্ধে এরকম ঘটনা অহরহ রয়েছে শিরিনা যাকে অর্থাৎ তারাভানুকে শ্বাশুরী বলে দাবি করছে সে শিরিনার শ্বাশুরী নয় সে মিথ্যা কথা বলছে এর কোন প্রমাণ শিরিনা দেখাতে পারবেনা বলে দাবি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের।
এলাকার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেনঃ এরা আসলে একটা প্রতারক চক্র এদের দ্বারা আনেক নিরীহ মানুষ হয়রানি হচ্ছে। এই তারাভানুকে কখনো মা বোন ও শ্বাশুরী বানিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে জমিজমাসহ দীর্ঘদিন যাবৎ ঝামেলা ও প্রতারণা করে আসছে এদের ব্যপারে প্রশাসন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই ঘটনার সমস্ত রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে এবং ব্যবসায়ী হাবিবের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিক্তিহীন।
এলাকায় ও সরেজমিন ঘুরে দেখাযায় ব্যবসায়ী হাবিবের বিরুদ্ধে শিরিনার আনীত অভিযোগের কোন ভিক্তিই নেই। এবং কোন প্রকার সত্যতা খোঁজে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে খোজমেলে এই চক্রের আরেক সদস্য প্রতারক নুর হোসেন পিতা মৃত আবদুর রশিদ গোকুল নগর থানা আশুলিয়া। সে কখনো ডিবি পুলিশ কখনো ব্যবসায়ী আবার কখনো সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার এবং সার্জেন্ট ইত্যাদি বলে পরিচয় প্রদান করেন এবং সে একবার ডিবি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেলও খাটেন। বর্তমানে এই নূর হোসেন এই প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য এদের পাঁচ সাত জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এই নূর হোসেনও ব্যবসায়ী হাবিবের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেন আর নুর হোসেন যে দাগ হতে সম্পত্তি দাবি করেন সেই দাগে হাবিবের কোন জমিই নেই অর্থাৎ আরএস ২২ এখানে হাবিবের কোন নাম গন্ধই নেই অথচ হাবিবের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় নূর হোসেন।
ব্যবসায়ী হাবিব অভিযোগ করে বলেনঃ সুমন,তারাভানু, শিরিনা এবং নুরু হোসেনসহ এই প্রতারক চক্রের আরো বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্য মিলে বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছ হতে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা না পেয়ে এবং আমার সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাকে হুমকি ধামকি ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হেয়প্রতিপন্ন করছে।
এদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী হাবিব।
এব্যাপারে শিরিনার সাথে যোগযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেনঃ আমার জমি হাবিব ও মোজ্জামেল মিলে দখল করার চেষ্টা করছে, এব্যপারে আমি আশুলিয়া থানায় মামলা করেছি। আপনি কি কাগজপত্র দিয়ে মামলা করেছেন? এমন প্রশ্ন করলে শিরিনা বেগম বলেন, মামলা করার সময় আমার কাছ থেকে কোন কাগজপত্র চায়নি তাছাড়া আমার কাছে সব কাগজপত্র নেই আমার স্বামী যখন জীবিত ছিলেন তখন হাবিব আমার স্বামীর নিকট হতে কাগজপত্র কেড়ে নিয়েছে। তাহলে ভূমি অফিস থেকে কাগজপত্র তুলেননি কেন ? ওখান থেকে কাগজ তুলতে পারেন। উত্তরে শিরিনা বলেন, ভূমি অফিসে গিয়েছি কিন্তু সেখানে কাগজপত্র নেই। এখন আমার কাছে সব কাগজপত্র আপাতত নেই কিছু কাগজ আছে কিনতু দলিল নেই। এবিষয়ে বিভিন্ন প্রকার প্রশ্ন করলে তিনি উপযুক্ত উত্তর দিতে পারেনি এবং শিরিনা বেগমের উত্তর গুলো ছিল এলোমেলো।
এব্যপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরির্দশক মো.সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ হাবিবের দুইটা মামলা ও জিডি রয়েছে করোনার কারনে এখনো এগুলোর তদন্ত করতে পারিনি। পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment