আশুলিয়া নিউজ টুয়ান্টি ফোর : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শুধু কর্মকর্তারাই ঘুষ খান না।
মন্ত্রীরাও দুর্নীতি করেন। মন্ত্রীরা চোর, আমিও চোর। কর্মকর্তারা যাতে
সহনশীল হয়ে ঘুষ খান এ কথাও বলেন তিনি। রাজধানীর শিক্ষা ভবনে আয়োজিত এক
অনুষ্ঠানে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রীর এ বক্তব্য শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে সরাসরি প্রচার করা
হয়।
পরে তার এ বক্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘুষ-দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, খালি যে অফিসাররা চোর তা না, মন্ত্রীরাও চোর। আমিও চোর। এ জগতে এমনই চলে আসছে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। তাই আপনাদের অনুরোধ করেছি, আপনারা ঘুষ খান, কিন্তু সহনশীল হয়ে খান। কেননা, আমার সাহসই নেই বলার যে, ঘুষ খাবেন না। তা অর্থহীন হবে।
মন্ত্রী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানের দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাইভ হয়। এর বড় অংশজুড়ে ছিল মন্ত্রীর বক্তব্য।
দুর্নীতির বিষয় উল্লখ করে মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা স্কুলে যান খাম রেডি থাকে। সেটি নিয়ে আসেন আর পজিটিভ রিপোর্ট দেন। এটার পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একজন কর্মকর্তাকে দুদক দিয়ে ধরিয়েছি। কারণ থানা পুলিশ দিয়ে ধরালে ঘুষ খেয়ে তারাও ছেড়ে দিবে। বাধ্য হয়ে দুদককে দিয়ে ধরাতে হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ওই কর্মকর্তার তথ্য সংগ্রহ করে দেখলাম উনি ৫টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে পিয়ন পর্যন্ত সবার এক মাসের বেতন দিতে বলেন। সেই অনুযায়ী শিক্ষকরা টাকা রেডি করে। অনেক কষ্টে তাকে ধরতে হয়েছে। ঢাকায় যখন তাকে ধরা হয়, তখনও তার সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এখন এক মাসের বেতন মানে অনেক টাকা। কারণ শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। তাই এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ওই দপ্তরের চাকরি করে একজন ঢাকায় তেরটি বাড়ি করেছে তথ্য দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি অবশ্য চালাক লোক। এক জায়গায় কেনেননি। একেক জায়গায় জমি কিনে ধীরে ধীরে এই বাড়িগুলো করেছেন। তিনি বলেন, অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এখন কেউ চা পর্যন্ত খেতে চান না। আমি বলবো এটা করার দরকার নেই। আপনি আপসে চা কেন মাংস খান, কিন্তু খাম না নিলেই হয়।
মন্ত্রী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অনেকেই আমাকে ফোন করে এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পরিদর্শনের জন্য আপনাদের সব কিছুই দেয়া হচ্ছে। তার মানে এখন কোনো কিছু করলে আমার কাছে চলে আসবে। আমার কাছে কোনো কিছুই অজানা আর থাকবে না। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিসিএস কর্মকর্তাদের মধ্যে রেষারেষি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মেয়েরা মেয়েদের সম্পর্কে এমন কথা বলে যা কল্পনাও করা যায় না। আমার শোনার দরকার নেই, আপনারা ভালো হয়ে যান। আপনারা খারাপ দিকগুলো বাদ দিয়ে ভালো দিকগুলো কাজে লাগান।
বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি কমেছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব কার্যক্রম ডিজিটাল হলে তা আরো কমে আসবে। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘুষ-দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, খালি যে অফিসাররা চোর তা না, মন্ত্রীরাও চোর। আমিও চোর। এ জগতে এমনই চলে আসছে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। তাই আপনাদের অনুরোধ করেছি, আপনারা ঘুষ খান, কিন্তু সহনশীল হয়ে খান। কেননা, আমার সাহসই নেই বলার যে, ঘুষ খাবেন না। তা অর্থহীন হবে।
মন্ত্রী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানের দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাইভ হয়। এর বড় অংশজুড়ে ছিল মন্ত্রীর বক্তব্য।
দুর্নীতির বিষয় উল্লখ করে মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা স্কুলে যান খাম রেডি থাকে। সেটি নিয়ে আসেন আর পজিটিভ রিপোর্ট দেন। এটার পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একজন কর্মকর্তাকে দুদক দিয়ে ধরিয়েছি। কারণ থানা পুলিশ দিয়ে ধরালে ঘুষ খেয়ে তারাও ছেড়ে দিবে। বাধ্য হয়ে দুদককে দিয়ে ধরাতে হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ওই কর্মকর্তার তথ্য সংগ্রহ করে দেখলাম উনি ৫টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে পিয়ন পর্যন্ত সবার এক মাসের বেতন দিতে বলেন। সেই অনুযায়ী শিক্ষকরা টাকা রেডি করে। অনেক কষ্টে তাকে ধরতে হয়েছে। ঢাকায় যখন তাকে ধরা হয়, তখনও তার সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এখন এক মাসের বেতন মানে অনেক টাকা। কারণ শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। তাই এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ওই দপ্তরের চাকরি করে একজন ঢাকায় তেরটি বাড়ি করেছে তথ্য দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি অবশ্য চালাক লোক। এক জায়গায় কেনেননি। একেক জায়গায় জমি কিনে ধীরে ধীরে এই বাড়িগুলো করেছেন। তিনি বলেন, অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এখন কেউ চা পর্যন্ত খেতে চান না। আমি বলবো এটা করার দরকার নেই। আপনি আপসে চা কেন মাংস খান, কিন্তু খাম না নিলেই হয়।
মন্ত্রী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অনেকেই আমাকে ফোন করে এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পরিদর্শনের জন্য আপনাদের সব কিছুই দেয়া হচ্ছে। তার মানে এখন কোনো কিছু করলে আমার কাছে চলে আসবে। আমার কাছে কোনো কিছুই অজানা আর থাকবে না। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিসিএস কর্মকর্তাদের মধ্যে রেষারেষি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মেয়েরা মেয়েদের সম্পর্কে এমন কথা বলে যা কল্পনাও করা যায় না। আমার শোনার দরকার নেই, আপনারা ভালো হয়ে যান। আপনারা খারাপ দিকগুলো বাদ দিয়ে ভালো দিকগুলো কাজে লাগান।
বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি কমেছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব কার্যক্রম ডিজিটাল হলে তা আরো কমে আসবে। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment