মাসুদ রানা : আশুলিয়ার রপ্তানী প্রক্রিয়া করণ এলাকা(ইপিজেড) জোন এক ও দুইয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিকের যাতায়াতের জন্য ব্যবহারিত হচ্ছে ৪০/৫০বছরের পুরোনা ভাঙ্গাচুরা লক্কর ঝক্কর বাস । আশুলিয়ার ইপিজেড এলাকার বিভিন্ন পোষাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা অত্র এলাকার আশে পাশে বিভিন্ন এলাকাতে বসবাস করে। এদের কারখানায় আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিদিন ব্যবহারিত হচ্ছে প্রায় দেড় থেকে ২০০টি বাস ৪০/৫০বছরের পুরোনো ভাঙ্গাচুরা লক্কর ঝক্কর, ব্যবহারের অনুপোযোগি বাস । এসকল গাড়ি গুলোর নেই কোন ফিটনেস,রোড ট্রাক্স ইনসুরেন্স এমনকি গাড়ি গুলোর চালকদের অধিকাংশের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। ঢাকা শহরে ২০ বছরের পুরোনো গাড়ী গুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এ সকল গাড়ি গুলো চলে ঢাকার আশে পাশের এলাকার ন্যায় ঢাকা ইপিজেডে । আর অদক্ষ চালকরা এসকল গাড়ী গুলোর চালক । সাধারণ শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য কারখানা কতৃপক্ষ বেছে নেয় স্থানীয় কিছু দালালের মাধ্যেমে ভাড়ায় চালিত চলাচলের অনুপোযোগি এধরনের বাস গুলোকে । আর এসকল গাড়িগুলোর অসাধু মালিকরা শুধু ভাড়াই গুণে যান, নেই কোন তাদের গাড়ি গুলোর যথাযথ মেরামত ব্যাবস্থা ও তদারকি । এসব বাস গুলো প্রায় সময় মহাসড়কে বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় । এ ধরণের বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শত শত শ্রমিক নিহত হয়েছে,আর অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে ।
ঢাকা ইপিজেডে কর্মরত বিভিন্ন কারখানার ষ্টাফ দের যাতায়াতের জন্য প্রায় কারখানায় রয়েছে বিলাস বহুল মাইক্রো ও এসি বাস ।আর সাধারণ শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য সেই ৪০/৫০ বছরের পুরোনো বিলাঙ্গ, চলাচলের অনুপোযোগি লক্কও ঝক্কর বাস । এধরনের বৈষম্য মূলক আচারণ শুধু সাধারণ শ্রমিকদের জন্যই । যে পোশাক শ্রমিকরা বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি আর তাদের দিকে নজর নেই সরকার ও কারখানা কতৃপক্ষ বেপজা কতৃপক্ষের ।প্রায় দুই যুগের ও বেশি সময় ধরে চলছে ঢাকা ইপিজেড । অথচ এই দুই যুগেও পরিবর্তন হয়নি শ্রমিকদের পরিবহন ব্যাবস্থার আধুনিকি করণ ।সেই দাদার আমলের বেডফোড,হিন্দুস্থান ও নাম না জানা অংসখ্য হারিয়ে যাওয়া মডেলের বাস দিয়ে চলছে যাতায়াত ব্যাবস্থা । এ ব্যাপারে বেপজা কতৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন ।
No comments:
Post a Comment