নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মিথ্যা মনোনায় প্রাপ্তির গুজব নিয়ে জাতীয় সংসদের ১৯২নং আসন, ঢাকা-১৯ তথা সাভার আশুলিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকে চলছে মিথ্যা সংবাদ প্রচার প্রচারণা। আর এই মিথ্যা প্রাচারে রীতিমতো কোমর বেধেঁ নেমেছেন গুটি কয়েক আ.লীগের কর্মী আর হাতেগোনা ক"জন সাংবাদিক।
যা কারো কারো কাছে হাস্যরসে পরিনত হচ্ছে। আর এ কাজে সহযোগীতা করছে কিছু নামধারী ওয়েব পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়া। এসব গুজব ছড়ানো নিউজ গুলো জেনে না জেনে শেয়ারও করছে অনেকে। প্রকৃত পক্ষে এধরণের নিউজ বা আশংকার কোন ভিত্তি নেই।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি তার বিভিন্ন বক্তব্যে বার বার বলছেন প্রার্থীর তালিকা বা মনোনায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়-ই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আর প্রধানমন্ত্রী এখনো এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি আর যদি করেও থাকেন তাবে তা মিডিয়াতে সরাসরি প্রকাশ করেননি।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের মনোনায়ন বাছাই কমিটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতৃবৃন্দ নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন,ঢাকা-১৯ কেন আপনারাতো(সাংবাদিকরা) আওয়ামীলীগের সকল প্রার্থীর মনোনায়ন কনফার্ম করে দিয়েছেন যা আমরা কেন্দ্র থেকেও করতে পারিনি।
এ প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হয়, নিউজ গুলোতে তো আপনাদের বরাত দেয়া থাকে। এ ব্যাপারে তিনি জানান আমাদের কিছু অতি উৎসাহী নেতাকর্মী আপনাদের তিল বললে আপনারা তা তালে পরিনত করেন। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র থেকে কাউকেই গ্রীণ সিগন্যাল দেয়া হয়নি তবে জোটের জন্য বরাদ্দকৃত আসনগুলো ব্যাতিত আমাদের আওয়ামীলীগের জন্য প্রায় আসনগুলো নির্ধারিত হয়েছে। ক"টি আসন নির্ধারিত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রায় ২৫০টি।
ঢাকা-১৯ তথা সাভার আশুলিয়ায় কে পাচ্ছেন নৌকার টিকিট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন খুবই বিচক্ষণ ব্যাক্তি যিনি কখনো সিন্ধান্ত নিতে ভুল করেন না তিনি নিজের জন্য নয় দলের জন্য ভাবেন।
তিনি এই আসনে তাকেই মনোনায়ন দিবেন যাকে সত্যিকার অর্থে নেতাকর্মীরা চায় এবং যিনি বিরোধী শিবিরের প্রার্থীর সাথে লড়াইয়ের সক্ষমতা রাখেন।
আর তিনি তার কথায় সরাসরি কোন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে তার সাথে কথা প্রসঙ্গে তিনি প্রার্থীর ব্যাপারে কিছু আভাস দেন ।
তার কথা গুলো বিশ্লেষণ করে তাকে একজন প্রার্থীর নাম বললে তিনি মুচকি হেসেঁ সম্মতি জানান কিন্তু তা কেন্দ্র থেকে প্রকাশ না করা পর্যন্ত মিডিয়াতে প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান।
আর তাই নামটি বলে সাভার আশুলিয়ার অতি উৎসাহী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী আর সাংবাদিকদের মুখটি ম্লান করতে চাইনা।
যারা বোঝার, যারা জানার, জেনে গেছে তারা।
যার মনোনায়ন কনফার্ম সে ফুরফরে আছেন আর নেতাকর্মীদের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছেন।
আর যিনি সংশয়ে তিনি তার ভক্তদের দিয়ে মনোনায়ন পাবার গুজব গুলো ফেসবুকে ছড়ানোতে ব্যাস্ত আছেন।
আরতো মাত্র ক"টা দিন, তার পরেই কোনটা দুধ আর কোনটা পানি প্রমান হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment