নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজধানীর ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সন্ধা হলেই নানা স্থান জমে উঠে চায়না জুয়ার রমরমা আসর চলে গভীর রাত পর্যন্ত । সরেজমিনে অনুসন্ধানে জনাযায় পল্লী বিদ্যুৎ, জামগড়া, মনির মার্কেট, শরিফ মার্কেট, চিত্রশাইল কাঠালতলা সহ বিভিন্ন স্থানে চলে চায়না জুয়ার এমন রমরমা আসর। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চায়না জুয়ায় কর্মরত একধিক ব্যাক্তি জানায়, মূলত তারা জন বহুল এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে চীনের তৈরি কন্টোল প্যানেলের ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে চলে চায়না জুয়া এবং অজ্ঞাত এক চায়না নাগরিক এই চায়না জুয়ার ডিজিটাল বোর্ড গুলোর মালিক।
তার নিজস্ব সহকারী গাইবান্ধার বাসিন্দা প্লাবনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এই আসর গুলো। তারা আরো জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী, প্রশাসন ও কিছু ভূইপোড় সাংবাদিকদেরহ ম্যানেজ করে চালছে তাদের এহেন কার্যক্রম ।
আর এসব জুয়ার টাকা জোগাড় করতে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, চাঁদাবাজি-অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েছে চলেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এ সময় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত অনেকেই জানান, নিন্ম আয়ের মানুষরাই মূলত এই চায়না জুয়ার খেলোয়ার আর এদের অধিকাংশ পোশাক শ্রমিক তারা মাসশেষে যা বেতন পায় তা নিয়ে হাজির হয় চায়না জুয়ার আসরে এক সময় বেশী লোভের আশায় খেলতে খেলতে নিঃস্ব হয়ে বাসায় ফিরে।
নিঃশ্ব ঘরে ফিরে বউয়ের সাথে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ে অবশেষে সংসার ভাঙ্গার মত ঘটনাও ঘটে, এমনকি হত্যার মত অপরাধমূলক ঘটনাও ঘটছে জুয়ার টাকা জোগাড়ের জন্য।
আশুলিয়ায় চায়না জুয়া চলমান এলাকা গুলোর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন আপনারা(সাংবাদিকরা) এসব লিখলে কি হবে ক"দিন বন্ধ থেকে আবার চালু হবে আর তারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করবে সাধারণ মানুষ গুলোকে ।
তারা আরো বলেন, এবিষয়ে পুলিশ ও র্যাবকে জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী চায়না জুয়া বন্ধে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
No comments:
Post a Comment