আশুলিয়ার ফুটপাত জুড়ে ব্যাপক চাঁদাবাজী মাসে অর্ধ কোটি টাকার বানিজ্য - ashulia news 24

topads

Ads Here

Wednesday, January 30, 2019

আশুলিয়ার ফুটপাত জুড়ে ব্যাপক চাঁদাবাজী মাসে অর্ধ কোটি টাকার বানিজ্য

 আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ  শিল্পাঞ্চলখ্যাত আশুলিয়া এলাকার পোশাক শ্রমিকদের চলাচলের ফুটপাত দখল করে হকার বসিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজী করছে একশ্রেনীর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। এদের দৌরত্বে ফুটপাতের হকাররা জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রতিটি হকারকে মাসে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ফুটপাতে বসতে হয়। শিল্পাঞ্চলে এধরনের হকার সংখ্যা প্রায় এক হাজারের অধিক।এদের এলাকা ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক শ্রেনীর চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী রয়েছে। যারা প্রশাসন সহ সকল স্তর নিয়ন্ত্রণ করেন।
হকার থেকে চাঁদা আদায় করে এমন ব্যাক্তিরা গাড়ী বাড়ির মালিক বনে গেছে।
ওদের কোন কাজ নেই শুধু হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করাই ওদের কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণবসতিপূন্য শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সড়কের দুপাশে ফুটপাত দখল করে শ্রমিকদের চলাচলে বিগ্নসৃষ্টি করে  সীমানা বিক্রি করা হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায়,(যাহা অফেরৎ যোগ্য)এধরনের বহু হকার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চাঁদাবাজদের কাছে তারা জিম্মি হয়ে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে হকারদের দখলে ফুটপাত থাকায় পোশাক শ্রমিকরা মূল সড়ক দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পোশাক শ্রমিকরা জীবন দিয়েছে এমন অসংখ্য  র্দুঘটনার খবর প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায় । এছাড়াও ফুট ওভারব্রীজের প্রবেশ মুখ দখল করে দোকান তৈরী করে ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।এঘটনার সাথে সড়ক জনপথের লোক জড়িত বলে একটি সুত্রে জানায়, এধরনের চাঁদাবাজীতে পুলিশ প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে থাকেন বলে হকাররা অভিযোগ করেন। হকারদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিমাসে শিল্পাঞ্চলের ফুটপাত থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা চাঁদাবাজী হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এক বছরের চাঁদার টাকা দিয়ে অসহায় হকারদের পুর্নবাসন করা সম্ভব বলে অনেকে মনে করে।
এধরনের চাঁদাবাজীর প্রধান স্পর্ট হলো জামগড়া থেকে সরকার মাকের্ট পর্যন্ত,ইউনিক ষ্ট্যান্ডে ,নবীনগর স্মৃতিসৌধের সামনে ডেন্ডাবর,বাইপাইল,আশুলিয়া থানার সামনে থেকে ইপিজেড ও শ্রীপুর,জিরানী বাসষ্ট্যান্ডের সামনে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার হকার কাচাঁবাজারসহ নানা ধরনের পন্য সাজিয়ে ফুটপাত দখল করে বাজার বসিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে সড়ক জনপথের লোকজন এদের  সকালে উচ্ছেদ করে আবার বিকালে তারা বসে পরে। স্থানীয় থানা পুলিশ ওদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানায় হকাররা, ডিইপিজেডে কর্মরত নাসিম নামে  এক পোশাক শ্রমিক বলেন, পুরাতন ইপিজেড থেকে শমসের প্লাজা পর্যন্ত বিশাল কাঁচা বাজার বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে একশত বিশ টাকা চাঁদা উঠানো হয়,অপরদিকে বাসের কাউন্টার থাকায় শহর এলাকার বাস গুলি সড়ক দখল করে লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকে যার কারনে এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক মূল মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেটে কর্মস্থল ও বাসায় আসা যাওয়া করেন।
 সে আরো জানায়, সড়ক ও জনপদের সহকারী প্রকৌশলী দুূর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েক জন মিলে ডিইপিজেড পুরাতন জোনের প্রধান ফটকের সাথে ওভারব্রীজ এর নীচে সড়ক জনপদ যাত্রী ছাউনীর নামে একটি মিনি মার্কেট করে দোকান প্রতি এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে দোকান ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
 সওজ নয়ারহাট জোনের এসও নাঈমের নেতৃত্বে সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকারী দল সওজ  নামে স্থাপিত যাত্রী ছাউনীর অবৈধ দোকান গুলো ভেঙ্গে দেয়। এবং তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সওজর নামে দেয়া ঐ দোকান গুলি আমাদের নয়। দোকানগুলো ভেঙ্গে দেয়ার পর দিনই আবার তা মেরামত করে নেয় দোকানীরা ।
অন্যদিকে প্রতিবন্ধী পরিচয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নতূন ডিইপিজেড এর সামনে এক ব্যাক্তি অবৈধ যাত্রী ছাউনির সাইনবোর্ড দিয়ে লাখ লাখ টাকা অগ্রীম নিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান ভাড়া দিয়েছে।
এদিকে উক্ত স্থানে ডিইপিজেড এর পোশাক শ্রমিকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে গত এক বছরে ১০টির মতো সড়ক দুঘর্টনায় প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েক জন পথচারী শ্রমিক। সড়কে প্রাণ হারানো অনেক শ্রমিক ক্ষতিপুরণ ও পায়না।
এদিকে বাইপাইল সম্ভার ফিলিং ষ্টেশনের সামনে থেকে আশুলিযা থানা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক কাচাঁবাজার বসার কারনে পোশাক শ্রমিকরা মুল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। নারী শ্রমিকদের এমন চলাফেরা যে কোন সময় দুঘর্টনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে অভিজ্ঞ মহল।খোদ থানার সামনের সড়কে  অবৈধ কাচা বাজার পুলিশের ভুমিকা নিরবতায়, হতাশ সাধারণ পথচারীও। তারা বলছে, পুলিশ নিরব থাকা মানে  এধরনের কাচা বাজার থেকে তারা সুবিধা পায়। অপর দিকে জামগড়া এনভয় পোশাক কারখানার সামনে থেকে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩শতাধিক দোকান ফুটপাতে  রয়েছে যাহা থেকে প্রতি মাসে ৯ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী হয় বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানিয়েছে।
এই সকল চাঁদা আদায় করেন শান্ত নামে এক লোক,সে প্রতি দোকান থেকে প্রতিদিন একশত টাকা ও একটি ফুটপাতের দোকান বসার স্থান দখল বিক্রি করেন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া ফ্যান্টাসি কিংডম এর সামনে থাকা প্রাইভেট কার থেকে চাঁদাবাজী করা হয়। প্রতি গাড়ী থেকে প্রতিদিন  দেড়শত টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয় বলে জানাযায়, অপরদিকে বাইপাইলে এমন চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। এধরনে প্রায় ১০টি স্থান থেকে গাড়ী প্রতি এক থেকে দেড়শত টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয় বলে গাড়ীর ড্রাইভাররা অভিযোগ করেছেন। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের মহাসড়কের ফুটপাত অবৈধ দখল করার কারণে একদিকে পোশাক শ্রমিকরা চলাচল করতে পারছেনা।অন্যদিকে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।এর কারনে এই এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আর নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হিসাবে অকালে অনেক পোশাক শ্রমিক প্রাণ হারাচ্ছে ।অপর দিকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের দৌরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবিষয় নিয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্য শেখ মোঃ রিজাউল হক দিপুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments:

Post a Comment