আশুলিয়া নিউজ ২৪:সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। অনিয়ম,
অবহেলা আর দুর্নীতির কারণে সড়ক-মহাসড়কের বেহালদশা, সরকারি সম্পত্তি বেহাত
হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে
অফিসটি। কাজ না করে বিল নেয়া, অপ্রয়োজনে টেন্ডার দিয়ে অর্থ ভাগাভাগির ঘটনা
এখানে প্রতিনিয়তই ঘটছে। ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট ও কর্মকর্তাদের লোভ এ দু’য়ে
মিলে যেন রামরাজত্ব চলছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অবাক করার মতো দুর্নীতির
নানা চিত্র। যেখানে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর একক ক্ষমতাবলে গত ১৪
মাসে একই প্রক্রিয়ায় আড়াই কোটির অধিক টাকা ভাগাভাগি হয়েছে। এ ছাড়া
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে গোমতি সেতু পর্যন্ত ১০
কিলোমিটার থেকে ৪২ কিলোমিটার পর্যন্ত মহাসড়কে মেরামত কাজ না করেই ৭০ লাখ
টাকার বেশি বিল উঠিয়ে নিয়েছে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়ক ও জনপথ
অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ বিল
পরিশোধ করেন। সওজের এ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষায় আপত্তি
জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিসাব নিরীক্ষা অধিদপ্তরের
নিরীক্ষাদল এ অনিয়ম খুঁজে পেয়ে এর জবাব চেয়েছেন সড়ক বিভাগের নির্বাহী
প্রকৌশলীর কাছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের প্রাক্কলন (স্টিমিট) শাখার সূত্র
মতে, ২০১৪ সালের ১লা জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত ৫৩৮টি প্যাড
কোটেশন এর মাধ্যমে সড়ক মেরামতের মালামাল কেনা, সড়কের ময়লা পরিষ্কারসহ নানা
কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৪৩২টি ও ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের
গত দুই মাসে ১০৬টি প্যাড কোটেশন। প্রতিটি প্যাড কোটেশনের মাধ্যমে ৪৯ হাজার
টাকার উপরে এবং ৫০ হাজার টাকার নিচে ব্যয় দেখানো হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে
প্রায় ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। নির্বাহী প্রকৌশলী তার নিজ ক্ষমতাবলে ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের অনুমোদন ছাড়াই এ ব্যয় করতে পারেন। ৫৩৮টি প্যাড কোটেশনের মধ্যে
প্রভাবশালী ঠিকাদারদের একটি সিন্ডিকেট সিংহভাগ নিয়েছেন। এর আগে কোন অর্থ
বছরে ৫০টির বেশি প্যাড কোটেশন করা হয়েছে বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। কাজ
নেয়া একাধিক ঠিকাদার বলেছেন, তারা প্রতিটি প্যাড কোটেশনের জন্য ৩০ হাজার
টাকা করে প্রকৌশলীদের নগদ দিয়েছেন। প্রকৌশলীরা এ টাকা দিয়ে হয় মালামাল
কিনেছেন অথবা কেনেননি। তারপর প্রকৌশলীরা বিল করে দিয়েছেন। ঠিকাদাররা চেকের
মাধ্যমে টাকা পেয়ে গেছেন। ঠিকাদাররা বলছেন, তারা সড়কের মেরামত, ময়লা
আবর্জনা পরিষ্কার, বিভিন্ন সরকারি দিবস পালনে সড়ক বিভাগের ব্যয় মেটানোসহ
নানা কাজের জন্য ওইসব টাকা দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ
সড়ক বিভাগের অধীন ১৭৮ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। এগুলো
মেরামতের জন্য উন্মুক্ত ও সীমিত আকারে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে প্রতিটি
প্যাকেজে কয়েক লাখ থেকে কয়েক কোটি পর্যন্ত প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়। অন্য
কোনভাবে কয়েক হাজার টাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগ করে প্যাড কোটেশন করে মহাসড়ক
মেরামত করা সম্ভব নয়। তারপরও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা নিজেরা লাভবান হওয়া ও
ঠিকাদারদের লাভবান করার জন্য প্যাড কোটেশন পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন। এতে
রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাট হয়। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী
প্রকৌশলী রোশনি-এ ফাতিমা গত রোববার বলেছেন, প্যাড কোটেশনের মাধ্যমে কাজ করা
হয়েছে, কোন অর্থ ভাগাভাগি হয়নি। প্যাড কোটেশন মাত্রাতিরিক্ত হয়নি বলেও
তিনি দাবি করেছেন।
Thursday, September 3, 2015
Home
১৪ মাসে আড়াই কোটি টাকা ভাগাভাগি
নারায়ণগঞ্জ সওজে লুটপাটের মহোৎসব
নারায়ণগঞ্জ সওজে লুটপাটের মহোৎসব,১৪ মাসে আড়াই কোটি টাকা ভাগাভাগি
নারায়ণগঞ্জ সওজে লুটপাটের মহোৎসব,১৪ মাসে আড়াই কোটি টাকা ভাগাভাগি
Tags
# ১৪ মাসে আড়াই কোটি টাকা ভাগাভাগি
# নারায়ণগঞ্জ সওজে লুটপাটের মহোৎসব
About my blogg
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.
নারায়ণগঞ্জ সওজে লুটপাটের মহোৎসব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment